ফজলুল হক, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আবারও জেকে বসেছে শীত, কঁাপছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল বস্ত্রহীন মানুষ। শীত ক্রমেই বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরীব অসহায় মানুষের কষ্ট। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে হতদরিদ্র মানুষের জনজীবন।
সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলবাড়ীয়া, সূত্রাপুর, ঢালজোড়া, আটাবহ, বোয়ালী, শ্রীফলতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিনের শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। সারারাত ঝড়তে থাকে কুয়াশা।
এতে করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। চারিদিক কুয়াশা ও বাতাস থাকায় চরম ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না মানুষ। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও বেড়েছে দুর্ভোগ। শীত জনিত রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। এছাড়াও গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন খামারীসহ অন্যান্যরা। তীব্র শীতে বেড়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ। শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো তেমন ভালো নেই।
হতদরিদ্র রেজিয়া আক্তার বলেন, টাকার অভাবে ভাল শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। শীতের কারণে অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছি।
কয়েকজন রিক্সা ও ভ্যান চালক জানায়, রাস্তায় বের হলে তীব্র শীতের কারণে যাত্রী পাওয়া যায় না। ফলে তাদের আয় কমেছে সংসারে অভাব বেরেছে।
এদিকে শীত আর চরম ঠান্ডার কারণে জমে উঠেছে মৌসুমী পুরান কাপড় ব্যবসাও। তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় ফুটপাতের দোকানে রয়েছে উপচে -পড়া ভির। ক্রেতাদের একজন ইকবাল হোসেন জানান, অন্য দিনের চেয়ে আজকে শীতের কাপড়ের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে।
কালিয়াকৈর ইউএনও কাজী হাফিজুল আমিন বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যেটা আমরা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে বিতরণ করেছি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৬ লাখ টাকার বরাদ্ধ এসেছিল। তার মাধ্যমে আমরা প্রায় ১৩শত কম্বলসহ ১২শত ৭৫টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে । তারপর আমরা যখনি কোথাও খবর পাচ্ছি, অসহায় মানুষ জ্ঞাত অবস্থায় আছে তাৎক্ষনিক ভাবে তাদেরকে কম্বল সরবরাহ করাসহ সাহায্য করা হচ্ছে।